নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য মজিবর রহমান (৫১) হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে সড়কে মিছিলও করেন তাঁরা। গত রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় খুন হন মজিবর রহমান।
এরই প্রতিবাদে আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর উদ্যোগে পৌর শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় এক মানববন্ধন হয়।
এতে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহনে ঘন্টাব্যাপি মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ,সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নআওয়ামিলীগের সহ সভাপতি ইদ্রিস আলী, নিহতের স্ত্রী জমিলা খাতুন,ছোট ভাই নুর নবী,ছেলে রাজন শেখ,আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ আব্দুল হান্নান,ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম,ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম,আব্দুল কাদির,তোফাজ্জল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,এলাকার বিএনপি‘র সন্ত্রাসী কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল,তার ছোট ভাই শামীম ও বদিউল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে গত ২০১৯ সনের ১৭ অক্টোবর উপজেলা নবীন লীগের সভাপতি কাওসার তালুকদার,২০২২ সনের ৮ অক্টোবর কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সদস্য শুব্রত সাংমা এবং ২০২৪ সনের ৪ ফেব্রুয়ারী আওয়ামিলীগ সদস্য মজিবুর রহমান কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাছাড়া ২০২৩ সনের ২২ অক্টোবর যুবলীগ নেতা নুর নবীকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মারপিট করেছে যার জন্য সে পঙ্গু অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছে। বক্তারা এই সময় সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানান।
নিহতের ছেলে রাজন শেখ বলেন,আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য। বর্তমান সরকারের আমলে এলাকার চিহ্নিত বিএনপির সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের ওপর হামলা করে নেতাকর্মীদের হত্যা করে যাচ্ছে। আমার মতো যেন আর কোন আওয়ামী পরিবারের ছেলে মেয়ে এই অল্প বয়সে এতিম না হয়। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন,মজিবুর হত্যাকান্ড নিয়ে ওনার ছেলে বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন সহ আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।