<
  ঢাকা    মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে মামলার আসামী হলেন সাংবাদিক
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রামে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এক পক্ষের রোষানলে পড়ে মামলার আসামী হয়েছেন জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার রাজু চৌধুরী। 

একজন সংবাদ কর্মীকে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে উদ্দেশ্য মূলকভাবে মিথ্যা মামালায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।

জানাগেছে, চট্টগ্রামের নন্দন কাননস্থ বৌদ্ধ বিহারে একুশে পদক প্রাপ্ত গুণীজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর জিনবোধি মহাথের এর উপর গত ৮ মার্চ হামলার ঘটনা, এরপর দিন (৯ মার্চ) সাধারণ বৌদ্ধ জনতার ডাকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ, সাংবাদিক সম্মেলন এবং নন্দন কাননস্থ বৌদ্ধ বিহারে সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ তথা পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে উপস্থিত হওয়ায় ডক্টর জিনবোধি মহাথেরর বিরোধী পক্ষ বৌদ্ধ সমিতি নামে একটা সংগঠনের চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া চট্টগ্রাম কোর্টে মামলার আর্জিতে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আবেদন করেন এবং সেখানে ১৪ নং আসামী করেছেন জাতীয় দৈনিক “বাংলাদেশের খবর ” পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার রাজু চৌধুরীকে।

এজাহারে উল্লেখ করেছেন গত ৯ মার্চ চট্টগ্রাম নন্দন কাননস্থ বৌদ্ধ বিহারে সংগঠিত ঘটনায় রাজু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যান্য আসামিদের সাথে বৌদ্ধ সমিতির অফিস থেকে বিশ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে বৌদ্ধ সমিতির সুদীপ বড়ুয়া নামে একজনকে আরো চার-পাঁচ জন সহ লাঠি দিয়ে মেরে ছুরি নিয়ে হামলা করেছেন ।

এই ব্যাপারে সংবাদ কর্মী রাজু চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারো পরকীয়া প্রেম,আত্মহত্যা, হত্যা, সুদ খোর, মাদক বেপারী, অবৈধ ব্যবসায়ী কারো বিরুদ্ধে নিউজ করলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

যে কোন ঘটনার তথ্য ও সংবাদ সংগ্রহ আমার পেশাগত দায়িত্ব এবং আমি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কারো পক্ষ নিয়ে হামলা, লুট বা মারপিট করার কোন সুযোগ নেই, তাছাড়া সেখানে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোক সহ প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন, বিহারে সিসি টিভির ক্যামেরা ছিলো, পুলিশরা ভিডিও করেছেন এবং উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিক সবার কাছে ভিডিও ফুটেজ তাই পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে সবই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো সঠিক তদন্ত করে সেখানে আসলেই বিশ লক্ষ টাকা ছিলো কিনা, যিনি আমার লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন দাবি করছেন সব প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করা হউক, স্বাক্ষী হিসাবে স্বরূপ বিকাশ বড়ুয়া বিতান এবং সপু বড়ুয়া নামে দুই জন দেখানো হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা বর্ণনা দিতে বলা হউক এবং সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করে কেউ মিথ্যা তথ্য বা মিথ্যা স্বাক্ষী দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহারে যেদিন ঘটনার সূত্রপাত হয় অর্থাৎ ৮ মার্চ , মামলার ২নং আসামী অর্থদর্শী বড়ুয় ঢাকার হোটেল শেরাটনে একটি অনুষ্ঠানে প্যানেল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, যেদিন দুই পক্ষের বিবাদের শুরু সেদিন আমি ঢাকায় ছিলাম। পরদিন (৯মার্চ) চট্টগ্রাম ফিরে বিকেলে ২১শে পদক বিজরী ডক্টর জিনবোধি মহাথেরকে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় আমি ভাষন দিয়েছিলাম। মূলত এই কারণে আমাকে হয়রানী মূলক ভাবে আসামী করা হয়েছে৷ পুরো বৌদ্ধ বিহার এলাকায় সিসিটিভি আছে৷ যদি আমি কথিত লুট আর মারামারির সময় থাকতাম এতোদিনে তারা সেগুলো প্রকাশ করতো৷ যেহেতু আমি ছিলামই না তাই সিসিটিভি ফুটেজও তারা দেখাতে পারবে না৷ 

এসব বিষয়ে মামলার বাদি অজিত রঞ্জন বড়ুয়াকে প্রশ্ন কর হলে তিনি বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, "যাদের স্বচক্ষে দেখেছি এবং যারা যারা সেদিন জড়িত ছিল তাদেরকে আসামী করেছি।" একজন সংবাদ কর্মী পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে উপস্থিত থাকতেই পারেন তাকেও কেন আসামী করা হলো জানতে চাওয়া হলে তিনি একই জবাব দেন। সম্প্রতি তার স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি এরবেশী কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সাউথ বেঙ্গল গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. আশরাফ আলী
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : রফিকুল ইসলাম রতন
আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন : ০২-৪৮৮১১০৬১-৩, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত