ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। তারই মধ্যে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা আঘাত হানল ইজরায়েল ভূখণ্ডে। সোমবার রাতে উত্তর সীমান্তে ওই হামলায় পাঁচ জন সেনা আহত হয়েছেন বলে তেল আভিভের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে। আহত সেনাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর।
হিজবুল্লার যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর জবাবে মঙ্গলবার সকালে লেবাননে হিজবুল্লার কয়েকটি শিবিরে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান বোমাবর্ষণ করে। পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হিজবুল্লা বাহিনীতে রয়েছেন লক্ষাধিক যোদ্ধা। অতীতে বেশ কয়েক বার ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লড়াই চালিয়েছে তারা। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলার পরেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল লেবাননের ওই শিয়া যোদ্ধাগোষ্ঠী।
উপস্থিতি জানান দিতে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল সে সময়। হিজবুল্লা কথার অর্থ ‘আল্লাহর দল’। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের শিয়া মুসলিমদের এই দল বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থেকেছে। ১৯৮০-র দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।
রাজধানী বেইরুট-সহ লেবাননের শিয়া গরিষ্ঠ অঞ্চলগুলি হিজ়বুল্লার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৯৭৮ সালে সেনা পাঠিয়ে দক্ষিণ লেবাননের দখল নিয়েছিল ইজরায়েল। নিউইয়র্ক সিটির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস’ অনুযায়ী, তার পর থেকেই ইজরায়েলের সঙ্গে লেবাননের মন কষাকষির সূত্রপাত। হিজবুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার পর তারাও ইজরায়েলকে ‘প্রধান শত্রু’ বলে মনে করে। ইরানের সেনার ইমাম হুসেন ব্রিগেডের যোদ্ধারা নিয়মিত ভাবে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লা বাহিনীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।