<
  ঢাকা    শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও পানি খেতে দেয়নি শিক্ষিকা
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ১:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বরূপকাঠিতে তীব্র গরমে তানজিলা নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্লাশে অসুস্থ হয়ে পড়লে পানি খেতে দেয়নি সহকারি শিক্ষিকা রিতা রানি মৃধা। 

শনিবার দুপুরে উপজেলার স্বরূপকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তানজিলা আক্তার গরমে ক্লাসের ভিতরে মাথা ঘুরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় তার সহপাঠি ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষিকা রিতা রানিকে তানজিলার অসুস্থতার কথা বলে পানি আনতে বাহিরে যেতে চায়। 

শিক্ষিকা তানজিলার অসুস্থতার কথা শুনেও জবাবে তিনি বলেন, ঘন ঘন বাহিরে যাওয়া যাবেনা। এখন বাহিরে যাওয়া দরকার নেই। দুই একটা মরে যদি মরুক। দুই চারটা মরলে কিছুই হবেনা। 

অসুস্থ শিক্ষার্থী তানজিলা অভিযোগ করে জানায়, ওই দিন দুপুরে সে ক্লাশে ছিল। এমন সময় গরমে সে মাথা ঘুরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় পানি পান করার জন্য পাশের সহপাঠিকে বাহির থেকে পানি আনতে বলে। ওই সহপাঠি ক্লাশে উপস্থিত সহকারি শিক্ষিকা রিতা রানি মৃধাকে তানজিলার অসুস্থতার কথা বলে অনুমতি নিয়ে বাহির যেতে চায়।

রিতা রানি তাকে বাহিরে যেতে না দিয়ে বলেন, পানি আনার দরকার নেই। মরে যদি মরুক। ওরকম দুই চারটা মরলে কিছুই হবেনা। পরে তানজিলা আরো অসুস্থ হয়ে ক্লাশের আয়া তাকে ধরে লাইব্রেরিতে নিয়ে বসিয়ে মাথায় পানি দেয়া সহ পানি খাইয়ে একটু সুস্থ করার চেষ্টা করে। তার পিতা খবর পেয়ে ছুটে এসে তানজিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাকে অক্সিজেন সহ ইনজেকশন দেয়ার পরে সুস্থ হয় এবং  বাসায় নিয়ে যায়।

তানজিলার পিতা মোকলেছুর রহমান লালন অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে ক্লাশ চলাকালিন সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় মেয়েটি একটু পানি পান করার জন্য আকুতি করলেও নিষ্ঠুর শিক্ষিকা তাকে পান করতে দেয়নি। বরং উল্টো বলে মরে মরুক। ওরকম দুই চারটা মরলে কিছু হবেনা। পরে মেয়ের বান্ধবির মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়েকে নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেছি। ডাক্তার মেয়েকে একটি ইনজেকশন দিয়ে এক ঘন্টার বেশি সময় অক্সিজেন দিয়ে সুস্থ করেছে। আমি এর বিচার চাই।

সহকারি শিক্ষিকা রিতা রানি মৃধা বলেন গরমের কারনে আমরা ক্লাশের সবাইকে আধা লিটার বোতলের পানি সাথে নিয়ে আসতে বলেছি। ওরা তা না ছোট আড়াইশ এমএল বোতলে পানি আনে। এ কারনে ঘন ঘন পানি খেতে বাহিরে যায়। তাই আমি বলেছি এখন পানি আনতে বাহিরে যাওয়া যাবেনা। পরে তানজিলা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা লাইব্রেরিতে নিয়ে তাকে স্যালাইন পানি দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছি। দুই একজন মরে মরুক এ ধরনের কথা আমি বলিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাসানুল ইমাম বলেন, আমি ঢাকায় আসছি। স্কুলে এসে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেব। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সাউথ বেঙ্গল গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. আশরাফ আলী
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : রফিকুল ইসলাম রতন
আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন : ০২-৪৮৮১১০৬১-৩, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত