<
  ঢাকা    শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
ভাল নেই কেন্দুয়ার মুচি সম্প্রদায়
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ২:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন, তাদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এই পেশায় কাজ করে ৫ সদস্যের পরিবার এখন আর চলেনা। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে। কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পায়ে দেয় না। এখন পর্যন্ত আমি সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা ও পাই নাই। কথাগুলো বলছিলেন, কেন্দুয়া বাজারের মুচি সম্প্রদায়ের জহরলাল রবিদাস। ২০ বছর ধরে জুতা সেলাই পেশায় নিয়োজিত তিনি।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় তাঁর মত এমন আরো অনেকেই আছেন, যারা ছেঁড়া জুতা সেলাই করে চলার উপযোগী করে দেন। বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনরক চলছে তাদের জীবন।

উপজেলার কেন্দুয়া বাজারের মুচি সম্প্রদায়ের(যারা জুতা সেলাই করেন) কয়েকজন জানান, আমাদের মাঝে অনেকেই এখন এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।সারা দিন কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। এই টাকায় সংসার চালানো কঠিন। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট বেলা থেকে মুচি হিসেবে কাজ করে আসছেন, কিন্তু এখন অন্য কোন কাজ করতে পারেন না শুধু তারাই এখন পুরোনো পেশা ধরে রেখেছেন। তবে তাদের বেশির ভাগই চান না সন্তানরা এই কাজ শিখুক।কারণ এই পেশায় কাজ করে সংসার চালানো অনেক কঠিন।

মুচি বিজয় রবিদাস বলেন ১৫ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু এখন আর পারছি না।সারা দিন কাজ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় চাল ডাল নিয়ে যেতে পারি না। 

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার  বলেন, মুচি সম্প্রদায় একটি অবহেলিত সম্প্রদায়।পুরাতন জুতার মেরামত করেই চলে তাদের সংসার।আধুনিকতার যুগে তারা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তিনি আরো বলেন আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম সরকারি সাহায্য সহযোগিতা তারা পায় না। তাদেরকে বলবেন আমার অফিসে এসে দেখা করতে।তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।  

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সাউথ বেঙ্গল গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. আশরাফ আলী
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : রফিকুল ইসলাম রতন
আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন : ০২-৪৮৮১১০৬১-৩, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত