বুধবার (২৯ মে) রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কম্বোডিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ার সময় চীনের বাহিনীতে একটি রোবট কুকুরকে দেখা যায়, যার পিঠে একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল লাগানো থাকে। এই রোবোট কুকুর নেতৃত্ব দিচ্ছে পদাতিক সেনাদের। যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

মজার বিষয় হলো, অস্ত্র কাঁধে নিয়ে এই রোবটকে পুরোপুরি যুদ্ধক্ষেত্রের সৈনিকদের মতো ব্যবহার করা যায়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে অবস্থান নিচ্ছে এই সামরিক রোবট। প্রয়োজন হলে মাটিতে শুয়ে পড়া এবং পেছন থেকে ফিরেও চলতে পারে রোবটটি। দূরবর্তী অবস্থান থেকেই রিমোটের সাহায্যে ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

 

‘গোল্ডেন ড্রাগন ২০২৪’ নামের এই সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল, সব ধরনের রোবট এবং মানুষ ছাড়াই আকাশযানসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে কলাকৌশল প্রয়োগের প্রস্তুতি নেয়া। এই মহড়ার একটি ভিডিও চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, এই রোবটগুলো বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে পুনরুদ্ধার, লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং আক্রমণ পরিচালনার মতো কাজ করা।

সরাসরি সামনে থেকে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া রোবটটি ৫০ কেজির (১১০ পাউন্ড) মতো ওজন হবে, যা আরও বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে থাকে। ১৫ কেজি (৩৩ পাউন্ড) ওজনের এই রোবট ২ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত একটানা কাজ করতে পারে। এ সময়ে দূরবর্তী কোনো যুদ্ধক্ষেত্রের সৈন্যদের রিয়েল টাইম ভিডিও পাঠাতে সক্ষম এই মেশিন।   এছাড়া ভিডিওর শেষে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহৃত বেশ কিছু ড্রোনকে আকাশ থেকে গুলি করতেও দেখা যায়।

 

ভিডিওতে চেন ওয়েই নামের চীনের একজন সেনা বলেন, নগরাঞ্চলে যুদ্ধের জন্য নিয়োজিত সেনা ইউনিটের নতুন সদস্য এই রোবট সেনা। অনুসন্ধানের কাজ, শত্রুপক্ষের অবস্থান শনাক্ত এবং প্রতিপক্ষকে নিশানা করে আক্রমণ চালানোর কাজ করবে এগুলো।

 

তবে সামরিক বাহিনীতে কুকুরের আদলে তৈরি রোবোটের ব্যবহার এই প্রথম নয়। গত বছরের নভেম্বরে যৌথ এক সামরিক মহড়া চালায় চীন, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। সেই মহড়াতেও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী এ ধরনের রোবোট দেখা গিয়েছিল। তাছাড়া ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতেও এ ধরনের রোবট দেখা যায়।