খুলনা কৃষি আঞ্চলের ৪জেলায় ঘুর্নিঝড় রেমালের প্রভাব ও অতিবৃষ্টিতে ৬কোটি ৪৩লাখ ২৫হাজার ৯৪৪টাকার বিভিন্ন প্রকারের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৩৭জন কৃষকের ১লাখ ৪৫হাজার ১২০ হেক্টর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১৮লাখ ৪৪হাজার ৪৬৪ হেক্টর জমি। কৃষক রেমালের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আবারে ঘুড়ে দাড়াবার চেষ্টা করছেন। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। ২৬ ও ২৭ মে রিমেল আঘাত হানে।
সূত্র জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মধ্যে রয়েছে পাট, আউশ বীজতলা, আউশ আবাদ, চিনাবাদাম, মরিচ, বোনা আমন, আদা, হলুদ, গ্রীষ্ম কালীন তরমুজ, লিচু, আম, পেঁঁেপ, পান, আখ, কলা, আখ, শীতকালিন ভুট্টা, তিল, গ্রীষ্মকালিন টমেটো, মুগ ডাল, কলা ও আফসিজেনের তরমুজসহ বিভিন্ন খরিপ মৌসুমের নানা প্রকারের সবজি রয়েছে।
ঘুর্নিঝড় রিমেলের কারণে খুলনায় আক্রান্ত জমির পরিমান ১৭৭৯৬.৫০হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ১৩৭৯৬জন কৃষক। ক্ষতির পরিমান ৪২৯৮৮৭২৯০টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১০৬৮.৪০হেক্টর। বাগেরহাটে আক্রান্ত জমির পরিমান ১২,৬১৩ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৩৯৪৬৫জন কৃষক। ক্ষতির পরিমান ৯৭৩৫.৭৮টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৮২১.৪৬হেক্টর। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত জমির পরিমান ২১২৯৪ হেক্টর।
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ১২১৫৬জন কৃষক। ক্ষতির পরিমান ২৪৪২০৮৯৫০টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৪১৩.৮৪হেক্টর এবং নড়াইলে আক্রান্ত জমির পরিমান ৩০৯০৭ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৮৬২০ কৃষক। ক্ষতির পরিমান ১৫৪৬.৮৭টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৪৩৫হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পুরোদমে খরিপ মৌসুমের কৃষি আবাদ করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করছেন কৃষক। তাদের দম ফেলার সময় নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনাঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, ঘৃর্নিঝড় রিমেলে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। আগামী আসছে মৌমুমে তাদের সরকারে পক্ষ থেকে প্রণোদনাসহ সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। তারা এখন আবার আবাদম করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের আবাদ করার জন্য উৎসাহ ও সাহস দেয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষনিক ভাবে পরামর্শ দেয়া ও তদারকি করা হচ্ছে।
বাবু/এস