রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশমারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
কর্মসূচিতে রামেবি অধিভুক্ত ২৩টি নার্সিং কলেজের বিএসসি কোর্সের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ইতোমধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহীস্থ বিভিন্ন বেসরকারী নার্সিং কলেজের এ শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবিতে ‘প্রতীকি পরীক্ষা ও প্রতীকি বিষপানথ, গলায় ‘ফাঁসির দড়িথ ঝুলিয়ে মিছিল, ‘কাফনের কাপড়থ জড়িয়ে অনশন এবং ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিলেন। কর্মসূচিতে অসুস্থ হলে ১৫ শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অনেকেই এখনো চিকিৎসাধীন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন শিক্ষার্থীরা।
নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানান, রামেবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তারা বৈষম্যের শিকার। তারা এর অবসান চান।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নবাজ-এর প্রতিষ্ঠাতা আমানুল্লাহ আমান বলেন, প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া কর্মসূচি নেয়া হয়। আমরা উচ্চপর্যায়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা আশাবাদী, রামেবিতে শীঘ্রই নতুন কর্মকর্তা এসে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরীক্ষা শুরু ও সেপ্টেম্বর মাসেই কাঙ্খিত ফলাফল প্রকাশ করবেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। কাজ চলমাম আছে, দ্রুতই সমাধান হবে।