জাতীয় প্রেসক্লাবে পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যে সেই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মন্তব্য চেয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য চেয়েছে।
দলটি লিখেছে, বাংলাদেশে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন, তাও জাতীয় প্রেসক্লাবে! আপনার মন্তব্য কি?
এই পোস্টের কমেন্টে একজন লিখেন, ওরা কবে যেনো বলেই বসে, আমরা সবাই ভাই ভাই স্বাধীনতার দরকার নাই।
অপর এক মন্তব্যকারী লিখেন, সদ্য অর্জিত স্বাধীনতা উপভোগ করছেন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষাধিক বীরাঙ্গনাদের ত্যাগ অস্বীকার করার স্পর্ধা দেখিয়ে!
এছাড়াও পোস্টের কমেন্টবক্সে অসংখ্য নেটিজেনকে প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাতে দেখা যায়। পোস্টটিতে মাত্র দুই ঘন্টায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কমেন্ট পড়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেনে মানিক মিয়া হলে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তবে হাইকমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একাডেমির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আব্দুল জাব্বার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. সামসুদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট আমাদের বিজয় দিবস, এটিই আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এসময় তিনি জিন্নাহকে স্মরণ করে বলেন, ১৯৪৭ সালে যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে না থাকতো তবে আজ কাশ্মীরের মতো ঘাড় ফেরানোর উপায় ছিল না, ভারতীয় জান্তারা ঘাড়ের ওপর অস্ত্র ধরে রাখতো। জিন্নাহ পাকিস্তানের সঙ্গ নিয়েছে বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
অপর বক্তা নজরুল ইসলাম বলেন, যেকোনভাবেই হোক আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ না থাকলে পাকিস্তান সৃষ্টি হতো না, আর পাকিস্তান না থাকলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না।
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের বাইরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের ঘটনা এটিই প্রথম। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তার প্রবন্ধে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের নানা ঘটনা বর্ণনা করা হয়। অনুষ্ঠানে জাফরুল হক জাফর জিন্নাহকে নিয়ে একটি উর্দু কবিতা পাঠ করেন। পাকিস্তানি শিক্ষার্থী মো. তাহির ও কামরান আব্বাস জিন্নাহকে নিয়ে উর্দুতে গান পরিবেশন করেন।