বাংলাদেশ রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার ও মহাপরিচালক মালা খানের কার্যালয়ে গোপন কক্ষ নিয়ে গণমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। আবার সেই কক্ষের নাম কেউ কেউ রোমান্টিক আয়নাঘর বলে মন্তব্য করেছে। তার এ গোপন কক্ষে ঢুকে অবিশ্বাস্য কিছু জিনিস দেখতে পাওয়া যায়।
তার গোপন কক্ষে রয়েছে একটি বিশ্রাম করার বেড।প্রতিষ্ঠানটির ডিজি মালা খানের ডিগ্রি, তার কাজের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন গবেষণায় দুর্নীতি ও অফিস সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অনিয়ম করতেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, মালা খান আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ভুয়া ডিগ্রী নিয়েছিলেন।
এছাড়াও বিআরআইসিএমের প্রধান হওয়ার জন্য ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার যে নিয়ম তা মালা খানের ছিল না। তার প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞান গবেষণামূলক চাকরির অভিজ্ঞতা ছিল ৮ বছর ৭ মাস। এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার ৬ বছর এবং ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ২ বছর ৭ মাস অভিজ্ঞতা ছিল।
পাশাপাশি নিবন্ধনহীন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী হয়েও রসায়ন বিষয়ে তার পিএইচডি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তুলেছে। যার প্রেক্ষিতে মালা খান ২০১৭ সালের দুইটি এবং ২০১৮ সালের একটি মামলা করেন। সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব অভিযোগ ছাড়াও মালা খানের স্বামী মোস্তফা আনোয়ার এবং তার মেয়ের নামে বিপুল অর্থ গড়ে তোলার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
পাশাপাশি মালা খান কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংকে ২০ কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন বলেও দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি মালা খানের গোপন কক্ষের তথ্য ফাস হয়।এ কক্ষটি আগে থেকেই ছিল। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ে কোনো কিছু বলতেন না। সরকার পতন হয়েছে ফলে এখন তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।