পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে স্কুলের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জেলার পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা। বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন।
শিক্ষক সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল। আজ ত্রিপুরার এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ঐ শিক্ষককে হত্যা করা হয়।
পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায়, সদর সার্কেলের এএসপি তৌফিকুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা আহত হয়েছেন।
ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় জানান, বর্তমানে জেলার পরিস্থিতি থমথমে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি মাঠে আছে।