তেল আবিব লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এমনটি জানিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এ সময় ইসরাইলজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
আগেই বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়। এর আগে ইরান ইসরাইলে যেকোনো সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছিলেন, ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। একইসঙ্গে এ ধরনের কোনো হামলা হলে তা তেহরানের জন্য গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে বলেও সতর্ক করে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার তেহরানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থানে ২০০টিরও বেশি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ছোড়া শুরু করে ইরান।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং এই বছরের শুরুতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে অতিসত্বর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আমরা এই সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতিকে সমর্থন করছি- বলেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।
একই সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের সরাসরি সামরিক হামলা তেহরানের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।’
ইরান এর আগে ঘোষণা দিয়েছিল যে, নাসরুল্লাহ হত্যা ইসরাইলের জন্য ‘ধ্বংস’ ডেকে আনবে।