<
  ঢাকা    বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই গণসমাবেশ : ফখরুল
আনোয়ার বারী পিন্টু
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে। আমরা সরকারকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারকে সমাবেশস্থলে বিকল্প জায়গা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা দেয়নি। পুলিশ কমিশনার এ্যানিকে ডেকেছিলেন। এ্যানি যখন বের হচ্ছিল তখন তাকে আটক করা হয়।’ নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মকবুলের পিঠ ঝাঝরা করে দিয়েছে। মারা গেছেন। দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। বলপূর্বক আমাকে আটকে রাখে। বিএনপির কার্যালয়ে বোমা নিয়ে ঢুকে বোমা রেখে আসে। বিভিন্ন রুম তছনছ করে। দরজা ভাঙে, ব্যাংকের চেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। দপ্তরের কর্মচারীদের নিয়ে গেছে। সিকিউরিটি গার্ড ধরে নিয়ে গেছে।’ বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘সোয়াত বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আর্জেন্টিনার জার্সি পরে ঢুকে গেছে। ঢাকা শহরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আমার বাসার কাছেই মিছিল করেছে। যুবদলের নেতাকে না পেয়ে তার বাবাকে অত্যাচার করেছে।’ ‘নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দুই দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। নেতারা ডিএমপি কমিশনারের কাছে গেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিরাপদ নয় বিধায় বিকল্প প্রস্তাব চাওয়া হয়। কিন্তু অনুমতি দেয়নি।’

বিএনপি কার্যালয় খুলে দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মির্জা বলেন, আটক নেতাদের মুক্তি দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ড. আব্দুল মঈন খান। বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে বিএনপির কার্যালয় থেকে ১৬০ বস্তা চাল, খিচুড়ি, রান্নার উপকরণ এবং অবিস্ফোরিত ১৫টি বোমা উদ্ধারের কথা জানানো হয়। 

নয়াপল্টন মোড়ে ফখরুলকে আটকে দিল পুলিশ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নয়াপল্টনের অবরুদ্ধ সড়কের মোড়েই মির্জা ফখরুলকে আটকে দিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাঁর গাড়ি নাইটিংগেল মোড়ে এলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে আটকে দেন। এ সময় মহাসচিবের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন। ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব সরকার জানান, ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি অফিসে কারো প্রবেশাধিকার নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরে উপস্থিত গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে বলেন, ‘আমি বিএনপির মহাসচিব। আমাকে আমার পার্টি অফিসে যেতে দেওয়া হলো না এবং তারা যে কথাগুলো বলছে এটা মিথ্যা। আমাদের ওখানে কোনো বিস্ফোরক ছিল না। নাথিং ওয়াজ দেয়ার। ’

নয়াপল্টনে পুলিশের ব্যারিকেড, বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া

ভবনের ভেতরে বিস্ফোরক মজুদ করার অভিযোগে গতকাল থেকে বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখা এলাকা থেকে সাংবাদিকসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে তৎপর ছিল পুলিশ। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা সমাবেশকে সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দলের নয়াপল্টন সদর দপ্তরের সামনে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের পর গতকাল গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে দেয়নি পুলিশ। কার্যালয়ের আশেপাশে থাকা নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জানা গেছে, সহকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির একদল সদস্য ঢাকার পল্টনের নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ তাদের বিজয়নগর ক্রসিংয়ের দিকে সরিয়ে দেয়। এদিকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ২০০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পল্টন মডেল থানার ওসি মো. সালাহউদ্দীন মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী হয়েছে পুলিশ। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে পল্টন থানায় এ মামলা করা হয়েছে। ওসি মো. সালাহউদ্দীন মিয়া বলেন, বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ৪৭৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও দেড় থেকে দুই হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল।

বাবু/জেএম

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সাউথ বেঙ্গল গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. আশরাফ আলী
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : রফিকুল ইসলাম রতন
আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন : ০২-৪৮৮১১০৬১-৩, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত