বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার নির্মাণ সীমান্ত সড়কের ফলে নানামুখী উন্নয়নের সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। পাহাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভুমিকা রাখবে। সে লক্ষে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কষ্টসাধ্য করে দূর্গম এলাকায় সীমান্ত সড়কে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার দুপুরে রাঙামাটি জুড়াছড়ি উপজেলার দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের সাইচাল এলাকার সীমান্ত সড়ক পরিদর্শনকালে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেছেন। এসময় তিনি সেনাবাহিনী প্রধান প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদস্থ সেনাসদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, একদিকে পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে সচল হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। একইসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ব্যবসা ও বাণিজ্যেরও ব্যাপক প্রসার হবে। বিশেষ করে পাহাড়ের সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের মূল ভূখন্ডে পরিবহনসহ ও বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, পার্বত্যাঞ্চলে ৯টি সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার। একনেক কর্তৃক অনুমোদিত ৩১৭ কিলোমিটারের মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ১৩২ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলমান। এ বছরের এপ্রিলের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
এসময় লেঃ জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিব উল্লাহ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা, লেঃ কর্নেল আবু হায়দার মোহাম্মদ রাসেদুজ্জামান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফেরদৌস হাসান সেলিম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যদরা উপস্থিত ছিলেন।
বাবু/জেএম