মাত্র ২৭ বছর বয়সে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ২২ জন নাৎসি অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিন তিনি। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠার পক্ষে আওয়াজ তোলেন ফেরেনজ। তার সরব ভূমিকায় ২০০২ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফেরেনজ এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। শৈশব থেকে তার আজীবনের সঙ্গী স্ত্রী গার্ট্রুড ফ্রাইড মারা যান ২০১৯ সালে।
১৯২০ সালে রোমানিয়া অংশের ট্রান্সিলভানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বেন ফেরেনজ। পরে তার পরিবার অ্যান্টি-সেমেটিক আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থিতু হয়। ১৯৪৩ সালে হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে স্নাতক শেষ করে মার্কিন সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন।
যুদ্ধের পর তিনি আইন পেশায় অনুশীলনের জন্য নিউইয়র্কে ফিরে আসেন বেন ফেরেনজ। এর কিছুদিন পরই নুরেমবার্গ ট্রায়ালে নাৎসিদের বিচার কাজে সাহায্য করার জন্য তাকে নিয়োগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তার পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। ওই সময় বিচারে ২২ জনের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত চারজনের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়।
বাবু/এ আর