স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের যে চিত্র তা সম্ভব হয়েছে শিল্পায়নের ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য। এতে মানুষের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা হয়েছে এবং নগরায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য যেকোন উন্নত দেশের মতোই আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে নানা রকম পরিবেশগত দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রথম থেকেই যদি আমরা আমাদের পরিবেশ দূষণের বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।
তিনি আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঢাকায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে করনীয় শীর্ষক Multi Stakeholder Consultation কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আলী হোসেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের কেমিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. এ শওকাত চৌধুরী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্ত করে একটি মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসাবে গড়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। এক সময় বাংলাদেশকে "তলাবিহীন ঝুড়ি" বলে অপমান করা হলেও বর্তমানে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর বুকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, যে পাকিস্তান থেকে জাতির পিতা স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাদেরকে মুক্ত করেছিলেন আজকে আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রেই আমরা পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে আছি। এমনকি প্রতিবেশী অনেক দেশের থেকেও সামাজিক অর্থনৈতিক সূচকে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে পরিবেশের বিষয়গুলো আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বলেন, বাতাস এমন একটি মাধ্যম যা ধনী গরীব সবার স্বাস্থ্যের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বায়ু দূষণের উপাদান সমূহ যেমন-বস্তুকণা, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড কার্বন, মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন দূষণের পরিমাপ করে সেসব দূষণ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি এ সময় আজকের এই কনসালটেশনের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে করনীয় একটি পথ পরিক্রমা পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় মন্ত্রী আন্ত সীমান্ত দূষণ দেশের বায়ু দূষণের মাত্রা কে বাড়িয়ে দিচ্ছেও বলে জানান।
মন্ত্রী বলেন, বায়ু দূষণের উৎস ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাদির উপর বহুবিধ অংশীজন জড়িত। সেজন্য সকল অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত এ দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।