জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। জাহাজটি আজ সোমবার (১৩ মে) বিকালে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। কাল মঙ্গলবার বিকালে সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনের সঙ্গে মিলিত হবেন ২৩ নাবিক।
এই নাবিকদের ফিরে আসা নিয়ে তাদের স্বজনরা করছেন নানা পরিকল্পনা। নাবিকরা তীরে এলে জেটিতে গিয়ে তাদের বরণ করতে চান স্বজন সবাই। এ জন্য লাগবে মালিকপক্ষের সবুজ সংকেত। কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন সেই সংকেতের জন্য।
আবার কেউ বলছেন, সংকেত যা-ই হোক, বরণ করতে যাবেন তারা নদীর তীরে। তাদের একজন জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর বেগম। তিনি বললেন, ‘মনের খুব ইচ্ছা, জাহাজ থেকে নামার পরই বুকে জড়িয়ে ধরব ছেলেকে। তিন নাতিনকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার।’
জাহাজের জেনারেল স্টুয়ার্ড নুরউদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ‘গরুর মাংস খুব পছন্দ করেন নুরউদ্দিন। পছন্দ করেন আমার হাতে বানানো কেকও। এ দুই খাবারের অনেক রকম মেন্যু থাকবে মঙ্গলবার রাতে। রান্না করব বিভিন্ন পদের সেমাই। এবারের ঈদে সেমাইও রান্না করিনি আমরা। ও এলেই ঈদের আনন্দ করব। করব কেনাকাটাও। ফুল দিয়ে বরণ করব ওকে। শুনব দুঃসহ সেইসব দিনের কথা।’
কাল মঙ্গলবার বিকেলে সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। কুতুবদিয়ায় নোঙর করলে নাবিকদের আরেকটি গ্রুপ পাঠাবে জাহাজটির মালিকপক্ষ। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের তারা নিয়ে আসবেন তীরে। সদরঘাট জেটিতে তাদের নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।
কেএসআরএম’র সূত্র জানিয়েছে, কুতুবদিয়া চ্যানেলে পণ্য খালাস শেষেই জাহাজটি নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দেবে। এরপর মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামের সদরঘাটে নাবিকদের বরণ করে নেওয়া হবে।