ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। অন্যান্য সমসাময়িক বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও এ বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা মূলত বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ভাবনা, নির্বাচন নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। ভবিষ্যতেও এই সমর্থন থাকবে। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তারা অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূসের সাথে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রায় সোয়া ঘন্টার বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আশা করি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম এবং যোগ্যতা দিয়ে খুব দ্রুত দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন এবং নির্বাচনের দিকে যাবেন। প্রয়োজনীয় সংস্কারসমূহ তারা করবেন।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা পর্যায়ক্রমে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনার বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে আসবে। যা কিছু হবে তার সবই সরকারের পক্ষ থেকে আসবে।
অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত ১২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি যমুনা প্রথম বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বিএনপি নেতারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চান এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে শঙ্কা ও সম্ভাবনা আছে সে ব্যাপারেও তারা একমত পোষণ করেন।
সবশেষে বিএনপি নেতারা এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, বর্তমান সরকার সংস্কার এবং নির্বাচন সম্পর্কিত এবং অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেবে সেটা নিয়ে সবাই একসাথে কাজ করবে এবং তারা সেটার একটি সমন্বিত অংশীদার হবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবং ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন।