বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
‘শামীম ওসমান আবারও বোরকা পরে পালাবেন’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১৯ PM
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, ‘২০০১ সালে কর্মীদের রেখে রাতের আঁধারে বোরকা পরে পালিয়েছিলেন শামীম ওসমান। 

ফিরে এসে সিংহের গর্জন দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। ছাত্র যুবকের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। বক্তব্যে বড় বড় কথা বলতেন। বিএনিপিকে পিষে মারার হুমকি দিতেন। তখন আমি বলেছিলাম শামীম ওসমান আবারও বোরকা পরে পালাবেন। গডফাদার পালিয়েছে। তার কর্মী সমর্থকদের ফেলে রেখে ৫ আগস্ট তিনি পালিয়েছেন। 

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, স্বৈরশাসকের অন্যতম দোসর শামীম ওসমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশ পাচার করেছে। ষোল বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারে ছত্রছায়ায় সে এই নারায়ণগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছিল। 

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র জনতার বুকের রক্ত ঝরিয়েছে। তারপরও স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি। ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট তিনি পালিয়ে গেলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে তার দোসররাও আত্মগোপনে চলে গেলেন। 

তিনি আরও বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই আন্দোলন সংগ্রামের ফসল উঠেছে। স্বৈরশাসকের দোসরার এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা রকম অপকৌশল চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতে ৫ আগস্টের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। 

গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে ভাবলে চলবে না। স্বৈরাচারের দোসররা দেশের শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি। 

তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে এখানে স্বৈরশাসকের দোসররা ছিল। তারা ব্যাপক লুটপাট সন্ত্রাসী চালিয়েছে। এখানে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেয়া হবে না। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এলাকার ভালো মানুষদের একত্রিত করে বিচার কমিটি করে দিতে হবে। নিজের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ভালো মানুষকে জায়গা করে না দিলে দেশ কখনই ভালো হবে না। 

আপনারা যারা আমার কর্মী সমর্থক আছেন তারা যদি কেউ সমাজের ভালো মানুষকে হেয় করেন, অসম্মান করেন তাহলে সে যত বড় নেতাই হোন না কেন আমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি কেউ করলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন, সে যত বড় নেতাই হোক আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত