মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে আসে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু। এরই ধারাবাহিকতায় সবশেষ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, গণহত্যা ও নৃশংসতার পর পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে দেশের চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে এগিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। এসব বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য আমরা উন্মুখ।
আরও প্রশ্ন করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে এই ভবনে ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় বাংলাদেশের বিষয়ে কিছু আলোচনা করা হয়েছিল কিনা? বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে বলতে পারি যে, বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক সমস্যাগুলো প্রায়ই ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে উঠে আসে। তবে আপনার প্রশ্নের বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু আমার কাছে নেই।
এর আগে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরের পরে এ বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেখানে প্রশ্ন করা হয়, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে ছিলেন। তার সফরের বিষয়ে একটি ফলোআপ করুন। তার মিটিংয়ের বিষয়ে আপনার কোনো পর্যালোচনা আছে কিনা। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিপ্রেক্ষিতে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আচরণ এবং বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে? দেশটিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর লক্ষ্য কী?
জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন ডোনাল্ড লু। সফরে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং শাসন ও উন্নয়নের প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।