বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, রাষ্ট্রপতিসহ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শেখ হাসিনা।
সচিবালয়ে যখন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মার বসে থাকে তখন শহীদ আবু সাইদ-মুগ্ধর কথা ভেবে চোখে পানি চলে আসে। শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমাদের নাকে আসে। এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বের হতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করতে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং মাফিয়া হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের ক্যাডারদেরকে বহিষ্কারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কোন পথে দিয়ে, কার ইঙ্গিতে দেশ থেকে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।
শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে, লক্ষ মায়ের বুক খালি করেছেন সেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বক্তব্য কেন ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে? আওয়ামী শাসনামলে আমাদের নেতা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার কোন বক্তব্য প্রচার করতে পারেনি কোনো গণমাধ্যম। তাই খুনি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বক্তব্য কিভাবে গণমাধ্যম আসে তা জনগণ জানতে চায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলও তার কতোজন লোককে গ্রেফতার করেছেন? বিদেশে বসে খুনিরা যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, জনগণের চাওয়া তাদেরকে দেশে এনে বিচার করুন। ৪৬০ থানার ওসিদের আইনের আওতায় আনুন, তারা বলতে পারবে কোথায় আছে ছাত্রলীগ যুবলীগের অবৈধ অস্ত্র।
জয়নুল আবদিন ফারুক আরো বলেন, ডিবি হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে। দেশের ছাত্র শ্রমিক জনতা মুক্তিযুদ্ধ করলেও শেখ হাসিনা বলতেন এই দেশ স্বাধীন করেছে আমরা বাবা, এটা আমার বাবার দেশ। তাই আজকে এই অহংকার পতনের হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই। আমাদের ওপর ভরসা রাখবেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এই বিপ্লবী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। ছাত্রলীগ যুবলীগ আবারও অস্ত্র হাতে মানুষ খুন করুন- এটা আমরা চাই না। আইন নিজের হাতে তুলে নেব না কিন্তু কতক্ষণ ধৈর্য ধরে রাখব জানি না।