গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি মরা লাশ। এই লাশ টানাটানি করে আর কোনো লাভ হবে না। যারাই তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে- তাদের প্রতিহত করা হবে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নুর। গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও পেশাজীবী পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা দল ছেড়ে, দুধ দিয়ে গোসল করে আগে পবিত্র হয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চান। যদি আস্ফালন দেখান, তবে পরিণতি ভালো হবে না।’
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘যদি এলিটদের প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে চান, তাহলে ক্ষমতার গতি যে কোনো সময় ঠুস করে নড়ে যাবে। ওয়ান ইলেভেনের মতো ফাঁদে পা দিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করবেন না। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনুন। চাঁদাবাজির শুধু হাতবদল হয়েছে। সড়ক, নৌ ও রেলপথসহ বিভিন্ন স্থানে এখনও চাঁদাবাজি চলছে। এদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীকে কাজে লাগান। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দিন।
নুর বলেন, ‘তিনমাস খুব বেশি সময় নয়। রাতারাতি সব বদলে যাবে না। ক্ষমতা ও নির্বাচনের জন্য অস্থির না হয়ে আমাদেরকেও একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমরা মারামারি, হানাহানির রাজনীতি চাই না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই। ৫৩ বছরে এই একটি গণঅভ্যূত্থান হয়েছে, যেখানে মানুষ জাতপাত, ধর্ম-বর্ণ ভুলে এক কাতারে শামিল হয়েছে। তাদের ত্যাগকে মাথায় রেখে সামনে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সরকার গঠন করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যে দল যত হারে ভোট পাবে, তত হারে আসন ভাগ করে দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।’
গণাধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আরও বক্তব্য রাখেন- নাজমুল হাসান, আব্দুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট খালেদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।