নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ ডেকেছিল আওয়ামী লীগ।
একই দিনে পাল্টা গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে ওইদিন কয়েকজন নারী-পুরুষ মারধরেরও শিকার হন।
সম্প্রতি ভারতের একাধিক এক্স একাউন্ট থেকে দেয়া পোস্টে দাবি করা হয়, গত ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ডাকা ওই কর্মসূচি ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার মধ্যেই এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
পোস্টগুলোয় রক্তাক্ত এক নারীর ছবি দিয়ে আরও বলা হয়, ওই নারী হিন্দু এবং তিনি মুসলিমদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে কিছু পোস্টে ওই নারীকে হিন্দু বলে দাবি না করা হলেও ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।
কিছু পোস্টে ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক্স অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ইতোমধ্যে ৯ লাখের বেশি মানুষ এসব পোস্ট দেখেছেন। এমনকি নেটিজেনদের বড় একটি অংশ এমন দাবিকে সত্য মনে করে এর সমালোচনাও করেছেন।
ফ্যাক্টচেকিং সাইট রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, পোস্টগুলোয় থাকা রক্তাক্ত ওই নারী হিন্দু নয়। এমনকি তিনি ধর্ষণের শিকারও হননি।
জানা যায়, কোহিনুর আক্তার নামের ওই নারী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের নেত্রী। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। গত ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে বিরোধীপক্ষের হামলায় আহত হন। পরে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ফেসবুকে কৃষক লীগের ডায়েরি নামের একটি পেজে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, কোহিনুর আক্তার কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সদস্য। ঘটনার দিন আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে তিনি বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের মব জাস্টিসের শিকার হন। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।