জাতীয় প্রেসক্লাবে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে কোনো কর্মসূচি করার জন্য রাজপথে নামতে দেবেন না, মানি, সমর্থন করি। কিন্তু এভাবে আওয়ামী লীগকে আপনি কয়দিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন? আপনারা বলবেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আমরা চাই না, আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।

কিন্তু কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আইনি কোনো পদক্ষেপ এই সরকার নিয়েছে? না। আমরা বলেছিলাম সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সরকার অধ্যাদেশ ও আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নিল না। কেনো? একদিকে চাইবেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক, আবার তাদের বিচার করবেন না! আবার পুলিশ দিয়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনারা বাধা দেবেন, এতো স্ববিরোধিতা ঠিক নয়।

তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনীতিকে প্রত্যাখান করেছে, তাদেরকে বিতাড়ন করেছে। সেই আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করতে পারবে না। এই আওয়াজ আমরা উঠাচ্ছি।

আমরা আওয়ামী লীগের গণহত্যার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিচার দাবি করছি। বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হোক, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা? নির্বাচন করতে পারবে কিনা? সংবিধান বিধান সংযুক্ত আছে সেই অনুযায়ী আপনারা আইন প্রণয়ন করুন। কেউ কেউ বলতে শোনা যাচ্ছে যে, মানবতাবিরোধী অপরাধ আদালতে যাদের বিচার হচ্ছে সেই বিচারে হয়তোবা অবজারবেশন আসবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে। সেটা অত্যন্ত দুর্বল অবজারবেশন। তখনও আপনাদেরকে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) প্রশাসনিক আদেশ দিতে হবে।

তখনও আপনাদেরকে আইন প্রণয়ন করতে হবে সেই অবজারবেশনের নিরিখে। কিন্তু এখন যদি আপনারা সোচ্চার হন বিচারের জন্য, মানুষ চায় বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ রাজনীতির একদমন নির্মূল হয়ে যাক। সেই ব্যবস্থা আপনারা নিতে পারেন। বিচার বিভাগের সংস্কারের রিপোর্টে সেই বিষয়গুলো আসবে কিনা আমি জানি না।