জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ মে) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) রবিউল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার পরপরই দোষীদের শনাক্ত ও আটকে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসনাতের গাড়িতে আঘাত করা হয়। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। তার হাতের কনুইয়ে জখম হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির পেছনে দৌড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসনাত বোর্ডবাজার এলাকায় আইইউটির ভেতরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আইইউটির সামনে শত শত ছাত্র জড়ো হন। এরই মধ্যে তিনি নিরাপদে ঢাকায় চলে যান। পরে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। রাত ৯টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মশাল মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তারা।
মহানগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, সালনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো একটি অনুষ্ঠান শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকায় ফিরছিলেন। তার গাড়ির পেছনে পেছনে ১০-১২ জন মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে থাকে। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার পার হওয়ার পর তার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আহত হন তিনি।
তিনি জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং অভিযানের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছি। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।