সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিসেম্বর ২০২২ থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এতে ডিজেল বাফার স্টক, তেল সরবরাহে রেল র্যাক নিশ্চিতকরণ, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, তেল পাচার রোধ ও নৌ ঘাট সংক্রান্ত রাস্তার সংস্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ড. তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিখাতে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে। যা মোট ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ১৬ দশমিক ৬৪ ভাগ। কিন্তু ২০২২-২০২৩ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন ডিজেল ও ৪৫ হাজার ৯৭১ মেট্রিক টন লুব অয়েলের চাহিদা রয়েছে।
কৃষি সেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের কাছে সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য গত ১ ডিসেম্বর বিপিসি’র চট্টগ্রাম প্রধান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের মজুত সার্বক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সংরক্ষণ করা হবে।
ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।
বাবু/এসআর