মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে আমরা লজ্জিত। দেশে এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা নেই।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রিপোর্ট প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো বানিয়ে কথা বলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘৭১ থেকে আওয়ামী লীগ একক ক্ষমতার নেতৃত্বে বিশ্বাস করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সবাইকে ছোট করে দেখাতে পছন্দ করে। আওয়ামী লীগ কাউকে সম্মান দিতে জানে না। তারা তাজউদ্দিন আহমেদ ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাম মুখেও নেয় না।’
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পুরনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে- এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা সচেতনভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র সরিয়ে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করছে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্মাণে যেসব মানুষ অবদান রেখেছেন তাদের স্মরণ করা হয় না। তাদের নামগুলো পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের হীনমন্যতার কারণে শুধুমাত্র একজনকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।
বাবু/জেএম