তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবে স্মার্ট ইকোনমি। এই স্মার্ট ইকোনমির মেরুদণ্ড হবে আমাদের স্মার্ট উদ্যোক্তারা।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে, যারা ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের আইটি সেক্টরে স্টার্টআপ পাঁচ হাজারে উন্নীত করা, এর মাধ্যমে ৩০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এ সেবা খাত থেকে জিডিপিতে অবদান দাঁড়াবে ২০ শতাংশ।
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে আইসিটি বিভাগ ও আইডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট এন্টারপ্রেনিউর: স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তা তৈরিতে আমরা পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ- এই তিন বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। চমৎকার বিজনেস মডেল, ভায়াবল প্রোডাক্ট আছে এমন উদ্যোক্তাদের আইসিটি বিভাগ থেকে এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অফেরতযোগ্য ফান্ড দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জব সিকার মাইন্ডসেট পরিবর্তন করে, জব ক্রিয়েটার মাইন্ডসেট তৈরি করতে পারলেই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ইকোনমি গড়ে উঠবে। আলিয়া ও কওমি মাদরাসার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটি মাদরাসায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ফেস্টিভ্যাল করা হবে। এছাড়া বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১০০ নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে।
আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, সাবেক সিনিয়র সচিব শহিদুল হক, সাবেক সচিব কামরুন নাহার, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, পলিসি অ্যাডভাইসার আনীর চৌধুরী, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, নারায়ণগঞ্জের লিডিং লাইটের (ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠাতা সিনথিয়া আকতার লিজা।
বাবু/মম