ঈদ সামনে রেখে নিত্য পন্যর দাম হুহু করে বেরেই চলছে। মধ্যবিত্ত পরিবার যেখানে চলতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে নিম্নবিত্ত মানুষের ওপড় এ যেন 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা'। কোনোভাবেই যেন কমছে না নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম , মিলছে না ক্রেতা-বিক্রেতা কারও হিসাব নিকাশ। চরম হতাশায় রয়েছে ক্রেতারা। রমজানে অস্বস্তি দিচ্ছে নিত্যপণ্যের দামে। বাজারে নানা অজুহাতে বিক্রেতারা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা।
মুদি
আজ রোববার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর তথ্য অনুযায়ী বাজারে আজ সরু চাল (নাজির/ মিনিকেট) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকা করে। মাঝারি চাল (পাইজাম/ লতা) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা দরে। মোটা চাল (স্বর্ণা/ চায়না/ ইরি) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়। আজ খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১২ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬২-৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা। প্যাকেট ময়দা প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা। এছাড়া দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। শুকনা মরিচ ৪০০-৪৪০ টাকা। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩৫ টাকা।
মাছ
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙাস প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা, ছোট ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, তেঁলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
মশলা
আজ বাজারে আদা (দেশি) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা। হলুদ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২৩০ টাকা। জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা। দারুচিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৫২০। এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-২৫০০ টাকা। ধনে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৬০। তেজপাতা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা।
মাংস
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে কেজি ছিলো ৩২০-৩৩০ টাকা। আর লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির মতো দাম কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের। আজ প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ফার্মের মুরগির ডজন ছিলো ১৪০ টাকা। তবে, হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা। অপরদিকে আজ বাজারে গরুর মাংস আগের দামেই কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা দরে।
সবজি
আজ রাজধানীর ভিবিন্ন সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সঁজনে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।