বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫
‘আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩, ৮:৪৮ PM
নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জের হবে জানিয়ে নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দলের মধ্যে আরও সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র করে কেউ কিছু করতে পারবে না।

আজ সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ’মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয়, তখনোই দেশের কিছু কুলাঙ্গার আছে যারা দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়, মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য দেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।

‘যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, ধর্ষণ, নির্যাতন করেছে, তারা আছে, তাদের আওলাদ আছে, তারা সারাক্ষণ দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। এটা হচ্ছে দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।’

নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস, অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’ভোট চুরি করা এটাই তাদের রেকর্ড। গণতন্ত্র হরণ করা এটাই তাদের রেকর্ড। তো ওদের মুখে এখন আবার আমরা গণতন্ত্র শুনি। যারা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি দল তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। তাদের কাছে ভোটের কথা শুনতে হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তো কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে এই খালেদা জিয়াকেই দেশের মানুষ ভোট চুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালে নির্বাচনে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করতে গেছে। তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।‘

বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিনের পর দিন কারাবরণ, অত্যাচার, নির্যাতন, তারপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধ করে যুদ্ধাহত হয়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ—এখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

‘আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা, স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা, জয় বাংলা মুছে ফেলা, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা, অনেক অপকর্মই করা হয়েছে। আসলে সত্য একসময় না একসময় উদ্ভাসিত হবেই। সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারে না। আজকে সেটাই হয়েছে।’

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এটুকু করতে পেরেছি, এই ১৪ বছরে, ২০০৮-এ সরকারে আসার পর, একটানা ক্ষমতার ফলে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে।

‘আমরা কিন্তু বাংলাদেশকে বদলে দিতে পেরেছি। আজকে কিন্তু সেই ভিক্ষুকের জাতি বলে কেউ আর অবহেলা করতে পারবে না। এই জায়গা থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এটাকে আমাদের স্থায়ী করতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেকোনো দুযোর্গ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগই কিন্তু মানুষের পাশে থাকে। দেশের বাইরে গেলে সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে আমাকে বলে আপনার ম্যাজিকটা কী? আমি বলি ম্যাজিক কিছু নাই ওখানে। আমার শক্তিশালী সংগঠন আছে, আর আমাদের সংগঠনের শক্তিশালী নীতিমালা আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, একটা পরিকল্পনা আছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে জনগণকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি বলেই আমরা সাফল্য আনতে পেরেছি।‘
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:   নির্বাচন    চ্যালেঞ্জ   প্রধানমন্ত্রী  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত