সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ২৩ জুন ২০২৫
কেন্দুয়ায় রঙ্গিন ফুলকপি চাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২:২৯ PM আপডেট: ০১.০২.২০২৪ ৬:৪০ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মুলা, গাজর, শিম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়। তবে এবার দেখা মিললো একটু ব্যতিক্রমী রঙিন ফুলকপির চাষ। 

প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা পেয়েছেন চিরাং ইউনিয়নের মনাটিয়া গ্রামের  আব্দুল বারেকের ছেলে তরুন উদ্যোক্তা শাহিরান হিরা।

শাহিরান হিরা বলেন আমি কেন্দুয়া সরকারি কলেজে সমাজ কর্ম বিষয়ে অনার্স ২য় বর্ষের পড়ছি।আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রঙ্গিন ফুলকপি চাষ দেখে উৎসাহিত হয়ে রঙ্গিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠি।পরে সিনজেনটা এগ্রো কোম্পানির কাছ থেকে বিনা মূল্যে ২০০০ পিচ বীজ সংগ্রহ করে ১০৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ জমিতে রঙ্গিন ফুলকপি এবছর চাষ করি। এখন আমার জমিতে ১৫০০ রঙ্গিন ফুলকপি বিক্রি উপযোগী হয়েছে।বাকিগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রঙিন ফুলকপির মধ্যে কোনোটির রঙ হলুদ আবার কোনোটি বেগুনি। তবে কোনো রকম কীটনাশক ছাড়াই এসব রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। 

শাহিরান হিরা আরও বলেন  এই রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উৎসুক জনতা ভিড় জমান।কেউ কেউ বাগান থেকেই ফুলকপি কিনে নিয়ে যান,আবার কেউ এই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে হিরা মিয়ার কাছ থেকে পরামর্শ নেন। অনেকেই রঙিন ফুলকপির সঙ্গে ছবি তোলাসহ ভিডিও ধারণও করছেন।

এ বিষয়ে শাহিরান হিরা জানান, আমি মোট ৯০ শতাংশ জমিতে  সাধারণ হল্যান্ড জাতীয় সাদা ফুলকপি চাষ করেছি।  তাই প্রথম দিকে আমি সাধারণ বাঁধাকপি ও ফুলকপিই চাষ করতে চেয়েছিলাম। পরে মনে হলো একটু রঙিন কপি চাষ করলে কেমন হয়। এরপরে ১৫ শতাংশ জমিতে চাষ করি। যেখানে হলুদ রঙের ফুলকপি ১৫শ পিস, এর সাথে অল্প ব্রুকলি ও বাঁধাকপি রোপণ করি।

কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই এসব কপি চাষ করেছেন বলে জানান এই তরুন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, প্রতিটি রঙিন ফুলকপির ওজন এক থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বাজারে পাইকারি ৬০-৭০ টাকা পিস বিক্রি হবে বলে আশা করছি । আমার ১৫ শতাংশ জমির সবগুলো রঙ্গিন ফুলকপি বিক্রি করতে পারলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে।এখন আমি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।

তিনি আরো জানান, কৃষিকে এখন আধুনিক পেশা হিসেবে আপনারা নিতে পারেন। আমাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করতে হবে। চাকরির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।এই রঙ্গিন ফুলকপি চাষে সফলতায় ওই এলাকার অনেক কৃষক ও তরুণরা আগামীতে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা  বলেন, রঙিন কপি নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় সবজি। রঙিন কপি চাষে বর্তমানে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সেইসঙ্গে মানবদেহের জন্য সাদা ফুলকপির চেয়ে এই রঙিন ফুলকপি অনেক পুষ্টিকর এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। অন্যদিকে, তরুন উদ্যোক্তা শাহিরান হিরার রঙিন ফুলকপি চাষের প্রচার প্রচারণার ফলে ভোক্তা ও বিক্রেতাদের মাঝে ক্রয়-বিক্রয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। কীটনাশক ছাড়াই চাষাবাদ করা যাচ্ছে এই রঙিন কপি। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আশা করি আগামীতে রঙ্গিন ফুলকপি চাষের পরিমাণও বাড়বে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত