আখাউড়া উপজেলার ধরখার-বড়বাজার সড়কের বনগজ এলাকায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ৯৬.১০ মিটার সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। 

এর আগে জনসভায় আসার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, যতদিন পর্যন্ত জঙ্গি সংগঠনগুলো আছে এবং বিএনপি-জামায়াত তাদেরকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে আমরা সাবধান থাকবো। জাতীয় পার্টি-বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কি থাকবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মে নীতি নির্ধারকগণ তারা এই সিদ্ধান্ত নিবেন। আমি না।

জনসভায় আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন করতে গিয়েছি তখন তারা নির্বাচন বয়কটের নামে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মেরেছে। আমরা যখন ২০১৮ সালের নির্বাচন করতে গিয়েছি তখন এই বিএনপি-জামায়াত মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। টাকা মানি লন্ডারিং করে বিদেশে নিয়ে গেছে। আর এখানে একটা নির্বাচনী এলাকায় তিনজন না হলে চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারপর নির্বাচন করে নাই। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তাঁরা সেরকম একটা ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা ভোটের জন্য আসে না। তারা মনে করে যে বিদেশে  কিছু তাদের মুরুব্বী আছে, তাদের কাছে কান্নাকাটি করলে পরে তারা অন্য দরজায়, পেছনের দিকের দরজায়, তলের দিকে দরজায় দিয়া তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে কি না। তাদের উদ্দেশ্যে আমি আজকে বলতে চাই সেই জামানা শেষ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের চিনে ফেলেছে। আপনারা সেই খেলা এখানে আর খেলতে পারবেন না। এখন বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। বাংলাদেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করবে। 

বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্যে করে আনিসুল হক বলেন, আপনারা যদি সন্ত্রাস করতে চান, আপনারা যদি এইসব বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট করতে চান তাহলে আমি আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এবং আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা কোন সন্ত্রাস সহ্য করব না। যারা চেষ্টা করবে তাদেরকে আমরা আইনের মাধ্যমে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেব। 

তিনি বলেন, এই বিএনপি-জামায়াতের নেতারা কোনদিন আপনাদের কাছে আসবে না। তারা ষড়যন্ত্র করবে। তারা বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাত কিভাবে কেড়ে নেওয়া যায় সেই ষড়যন্ত্র করে। আমরাও এটা সহ্য করব না। বাংলাদেশের জনগণ এটা সহ্য করবে না। 

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ধরখার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শানু মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া।