দশমিনা উপজেলার সদরের নলখলা ও পূজাখোলা অবৈধভাবে দু'পাশে অটোরিকশা, মাহিন্দা এবং মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে যানজটে পথচারী ও যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলমান শিক্ষার্থীসহ পথচারিদের ভোগান্তি চরম।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদরের পুজাঁখোলা- নলখোলা এলাকায় পূর্ব দিক থেকে ঢোকার প্রবেশপথ এটি। পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে দশমিনা-গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা তিনটি সড়কের মাথা এসে নলখোলা এলাকায় মিশেছে। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই মোড়ে সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শুরু ও ছুটির সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েন।
দশমিনা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার কলেজ একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার অনি বলেন, উপজেলা সদরের পুরো সড়কটি দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে মনে হয়ে। সড়কের দুই পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। হেঁটেও যাওয়ার উপায় থাকে না। ফুটপাথসহ সব জায়গায় এসব গাড়ি রাখা হয়। এর দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের কামনা করছি।
বড় গোপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকআহাম্মেদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন, শহরের আশপাশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও সরকারি বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীকে এ সড়ক পার হতে হয়। এ ছাড়া শহরে ঢোকার প্রধান সড়কও এটি। ফলে মোড়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অবৈধভাবে সড়কের দু'পাশে গাড়ি রাখার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিজা নাজ নীরা বলেন, অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রার জন্য নলখোলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্ট্যান্ডের জায়গা নির্ধারণ ও বালু বরাটের কাজ শেষ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন স্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে।