চীনা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ বিক্ষোভ হয়। প্রান্তজন, বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ ফর ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- (বিডব্লিউজিইডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়। এসময় বক্তারা, চীনা বিনিয়োগকৃত কোম্পানিতে মানবাধিকার নিশ্চিত ও চীনের বিনিয়োগের মধ্যদিয়ে পরিবেশের ক্ষতি না করার দাবি জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক এস এম শাহজাদা, সমাজসেবক ইব্রাহিম মাসুম, আসিফ হাওলাদার, জাহিদ হোসেন, মুক্তি মাহমুদ, ওমর ফারুকসহ শিক্ষার্থীরা।

বক্তারা বলেন, চীনা বিনিয়োগের কিছু নেতিবাচক দিক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। চীনা বিনিয়োগকৃত প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশের ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। এই বিনিয়োগের কিছু নেতিবাচক দিক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। চীনা বিনিয়োগকৃত প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশের ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। উপরন্তু, বিনিয়োগকৃত ঋণ এলএনজি এবং কয়লা আমদানি এবং সক্ষমতার জন্য পরিশোধ করতে হবে এবং দেশটি ধীরে ধীরে একটি ভঙ্গুর অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই চীন তাদের দেশের বাইরে এই ধরণের বিনিয়োগ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনা নববর্ষ উপলক্ষ্যে অবিলম্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগসহ চীনা কোম্পানীতে মানবাধিকার নিশ্চিত ও বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি না করার আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুভেচ্ছা জানাতে আমরা সমগ্র বাংলাদেশী সমাজ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে চীনা নববর্ষ উদযাপন করি। আমাদের দেশের অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য চীনা বিনিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর জন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। আমরা আশা করি আপনার সহযোগিতার হাত আমাদের দিকে প্রসারিত হবে। কর্মসূচীতে পরিবেশকর্মীরা নানান বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে প্লাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।