আখাউড়ায় বিয়ের ৪ দিনের মাথায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:৫১ PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের ৪ দিনের পর নববধুকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ২ টার মধ্যে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর মধ্যপাড়ায় স্বামী আব্দুল হামিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
ঘটনা টের পেয়ে বড় ভাই আব্দুল হানিফ এগিয়ে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় পাষন্ড হামিদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসী ও নববধুর স্বজন সূত্রে জানা গেছে, হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সাথে ৭/৮ মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুই পরিবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে আব্দুল হামিদ।
এর মধ্যে একবার তাছলিামকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ আশে পাশের লোকজন হৈ চৈ শুনে হামিদের বাড়িতে এসে দেখে হামিদ গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এদিকে খবর পেয়ে নিহতের ভাই আব্দুল কুদ্দুছ ঘটনাস্থলে এসে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন আর বোনের নাম নিয়ে বিলাপ করছিলেন।
নিহত তাছলিমা আক্তার
তিনি বলেন, ৭/৮ মাস আসে বিদেশে থাকা অবস্থায় হামিদের সাথে বোনের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার অনুষ্ঠান করে বোনকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই। এসময়ের মধ্যে কোন ঝামেলা হয়েছে কিনা বলতে পারিনা। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় কয়েজন জানায়, হামিদ ৬ বছর বিদেশ ছিল। ১৫/২০ দিন আগে দেশে ফিরে আসে। সে কারও সাথে মিশতো না। সামাজিক মাধ্যমেও একটিভ ছিল না।
হীরাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হেলাল মিয়া বলেন, দুপুরের নামাজ পড়ে হৈচৈ দৌড়ে এসে শুনে হামিদ তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
ঘটনাস্থলে আসা আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দিন বলেন, সোয়া ২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় নববধু পড়ে আছে। খাটের চারপাশে তখনও ঝুলছে ফুলের মালা।