আবাদ কম হয়েছে ২২৮.৫হেকত্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ২৬৭৬২মেট্রিকটন। এর মধ্যে পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯০৫হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১৭৭৮.৫হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৯৭৩৬মেট্রিকটন ও রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০৫হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৮০৫হেক্টর এবং উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৭০২৬মেট্রিকটন।  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৌসুম পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আবাদ কমেছে। তবে উৎপাদন বাড়বে। 

সূত্র জানিয়েছেন, কৃষি অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায় পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৫ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ২৫৯ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৩১১১ মেট্রিকটন। রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৭হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১২০ হেক্টর। উৎপাদনের সম্বাবনা রয়েছে ১১৬১মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১০হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১৪৮.৫হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ২০৯৪হেক্টর। রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে  ৮১হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৭০১হেক্টর। 

সাতক্ষীরা জেলায় পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮০হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৬৫১হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৭১৪০মেট্রিকটন। রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪০হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৩৭৪হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৩৩৪৪হেক্টর এবং নড়াইল জেলায় পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭১০হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৭২০হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৩৯১মেট্রিকটন। রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২০হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ২৩০হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৮২০মেট্রিকটন। 

এ রবি মৌসুমে জমিতে বীজ বুনে, কন্দি ও চারা রোপণ করে উৎপাদন করা হয়েছে। চলছে কর্তন। কৃষক ভালো দামে পিয়াজ ও রসুন বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে সরকারের আমদানি নির্ভরতা অনেকটা কমবে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বাড়বে। বৈরী আবহাওয়া থাকায় মৌমুম পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আবাদ কমছে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে তদরকি করা হচ্ছে।