নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সদর থেকে বসুনিয়া যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ ৪ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার দুধারে বাঁশের খুটি গেরে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার(২৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসুনিয়া এলাকার খালেকের মোড় সংলগ্ন রাস্তায় এই কার্যক্রম চালায় স্থানীয়রা। সকাল থেকে লোকজন একত্রিত হয়ে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া রাস্তাটি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে রাস্তার কাজ শুরু করে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শুরুর আগে রাস্তা অনেকটা ভালো ছিল। কাজ শুরু করার পর রাস্তায় অর্ধেক কাজ করে আর কাজ করছে না ওই প্রতিষ্ঠানটি। রাস্তা সংস্কার না করায় এলাকার মানুষজন ভোগান্তির পাশাপাশি ধুলা-বালুতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তারা বলেন সকালে এখান মাটি ও খোয়া নিয়ে গিয়ে অন্যত্র কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন।
এ সময় সড়কের দুধারে অসংখ্য যানবহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে প্রতিবাদকারীদের সাথে কথা বলেন।
অটোচালক আব্দুল কাদের বলেন, রাস্তাটি এতটাই খারাপ হয়েছে যে, এ রাস্তা দিয়ে কেউ অটো বা গাড়ী আনতে ভয় পায়। যাত্রীরাও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চায়না। আর রাস্তার কারনে প্রতিদিন গাড়ী নষ্ট হচ্ছে। আয়ের সব টাকা গাড়ী ঠিক করতে ব্যয় করতে হয়।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডোমার থেকে বসুনিয়া যাওয়ার প্রায় ৬ কিলিমিটার রাস্তাটি চলাচলের একবারেই অনুপযোগী। খানা-খন্দের পাশাপাশি বেশির ভাগ রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা ও রাস্তার ধুলাবালির কারনে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অসুস্থ্য হয় পড়েছে। রাস্তা ঠিক না করা পর্যন্ত রাস্তা খুলে দেওয়া হবেনা বলেও তারা জানান।
উপসহকারী প্রকৌশলি জিকরুল আমিন বলেন, শুনেছি এলাকার লোকজন রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এ রাস্তাটি ঠিক করার জন্য অফিস থেকে বার বার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আশাকরি ঈদের পরই এই রাস্তার কাজটি শুরু হবে। ১৮ কোটি টাকা ব্যায় প্রায় ২২ কিলোমিটার ৩টি রাস্তার কাজ করছেন ওই ঠিকাদারী প্রতি্ষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজ। ইতিমধ্যে একটি রাস্তার কাজ তিনি শেষ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।