মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
ডোমারে নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত ১৭
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ৫:৩৫ PM
আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপস্থিতিতিতে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের সতের জন সমর্থক আহত হয়েছে।

শুক্রবার(৫মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাঁ মটুকপুর ইউনিয়নের পাঙ্গাঁ দরগা হাটে ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পাঙ্গাঁর হাটে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকারের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এসময় উক্ত হাটে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে, স্থানীয়রা টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন। এসময় প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ও পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। 

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সতের জন কর্মী সমর্থক আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পারমিতা রায় আহতদের ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ডোমার থানা পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে লাইভে আসেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, আমরা পাঙ্গাঁয় এসেছিলাম, এখানকার প্রার্থী আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়ে ছিল তারা আমাদের উপর হামলা করবে। আমাদের দুইটা ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার উপরেও হামলা করার চেষ্টা করেছেন। গাড়ী ভাঙচুর করেছে, ১৫থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার। আমি শুনেছি কারো না কারো ইন্ধনে তারা এটা করেছে। অনেকে বলছে, এমপি সাহেবের ইন্ধনে তারা এটা করেছে।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকার বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্ব নিধারিত নির্বাচনী পথসভায় আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। এসময় খবর আসে আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ চেক করলে সবকিছু পরিস্কার হরে। আমি কতৃপক্ষের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহসীন আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই।এ বিষয়ে দু’পক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত