ময়মনসিংহে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী রানী ইসলাম। সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রানী ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। রানী ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য। মামলার অন্য আসামিরা হলেন কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমান রানা, মোহাম্মদ রাকিবুল ও জাওয়াদ নির্ঝর।
ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারকে দায়ী করে করে রানী ইসলাম বলেন, আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তার সহযোগীদের নিয়ে জোরপূর্বক আমাকে বাধ্য করে এই ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
রানী ইসলাম আরও বলেন, আমার মতো অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না। মূলত রাজনীতির আঁড়ালে এ ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। আদেশের কপি হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে, অভিযোগের সত্যতা জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা যুব মহিলা লীগের ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।