মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাজাকালু এলাকায় পিকআপভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বুধবার মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানায় সুনামগঞ্জের ছাতক থানার মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের পুত্র গরু ব্যবসায়ী গৌছ উদ্দিন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন, মোগলাবাজার থানাধীন জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়ার শফিক মিয়ার পুত্র মোঃ বুরহান উদ্দিন (২০), একই থানার সিলাম গ্রামের ঠিকরপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শামসোদ্দা সাদি (২২), সেবুল, লিটন ও রনি। তাদের মধ্যে মোঃ বুরহান উদ্দিন (২০) কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের পুত্র গরু ব্যবসায়ী গৌছ উদ্দিন একটি পিকআপভর্তি গরু নিয়ে বিক্রীর উদ্দেশে সিলেট নগরীতে আসছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাজাকালু এলাকায় আসামাত্র চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল যোগে কিছু যুবক তার গাড়িটি ঘিরে ফেলে।
একপর্যায়ে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে ড্রাইভারকে জিম্মি করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ছিনতাইকারা নিয়ে নেয়। পরে তারা গাড়িটি নিয়ে জালালপুর রোডের দিকে চলে যায়। পরে দক্ষিণ সুরমা থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে। মোগলাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছিনতাইকারী মোঃ বুরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেখানো স্থান থেকে পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই রাহুল দেবনাথ জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টার পাশাপাশি তদন্ত অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যেই এক আসামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।