শেরপুরের উপশহর কানাশাখোলা থেকে শুরু হয়ে-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ মহানগরের রহমতপুরের সাথে মিলিত হবে নতুন মহাসড়ক। নতুন বিকল্প সড়কে শেরপুর-ময়মনসিংহের দুরত্ব হবে ৪৯কিঃমিঃ।
বর্তমানে শেরপুর-ময়মনসিংহ যোগাযোগের প্রধান সড়ক হলো শেরপুর- নকলা-ফুলপুর- ময়মনসিংহ। এই সড়কে দুই জেলার দুরুত্ব ৬৯ কিঃমিঃ। অর্থাৎ নতুন সড়ক হয়ে গেলে শেরপুর-ময়মনসিংহ দুরুত্ব ২০ কিঃমিঃ কমে যাবে। এত বৃহৎ বাজেটের দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্প এই অ লে এটাই প্রথম। সরকারের এই উদ্যোগ সফল হলে এই অবহেলিত বৃহত্তর অ লের লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য বদল হবে বলে মনে করে স্থানীয়রা।
একমাত্র সড়ক যোগাযোগ সর্বস্ব জেলা শেরপুরের সাথে ময়মনসিংহের এই সড়কে বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।সীমান্তবর্তি প্রান্তিক এই জেলার সাথে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহের সাথে দ্রুত যোগাযোগ, অর্থনীতি বাণিজ্যসহ সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষেই এই মহাসড়কটি করা হচ্ছে দাবী সরকারের।সাধারনের ধারনা এই সড়ক হয়ে গেলে যোগাযোগের নতুন দুয়ারের উন্মোচন হবে।
আদালতের নির্দেশে ১৯৫২/৫৩ সালে জমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ হয়। আর বর্তমান সরকার নতুন ওই যোগাযোগের বাস্তব রুপ দিতে মেঘা পরিকল্পনা করে বছর চারেক আগে। আর কাজ শুরুর দুরন্ত সুচনা করে গত বছরের ২২ আগস্টে। ময়মনসিংহের সাথে যোগাযোগের কাঙ্খিত এই সড়কটি কানাশাখোলাস্থ পূর্বের মহাসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শেরপুরের গ্রামীণ জনপথ দিয়ে ময়মসিংহের ব্রহ্মপুত্র পাড় রহমতপুরে পেীছবে। এই ব্রহ্মপুত্রই সেতু নির্মাণে বড় বাঁধা ছিল। আর ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহের পরানগঞ্জ-রহমতপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ ও রেল লাইনের উপর দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ১৪শ ৭১ মিটারের একটি বিশাল দৃষ্ঠি নন্দন সেতু। নানা বাধা বিপত্তির মধ্যে কাজ শেষ করতে সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে এই প্রকল্পটি এক হাজার ৪২কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের শেরপুর ও ময়মনসিংহ সড়ক ও পনপথ। কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে দুই বছরের অধিক। রাস্তার দৈর্ঘ্য হবে ৪৪.৯০৬ কিঃমিঃ প্রস্থ ৩৩.৭৮ ফুট।করতে হবে বড় অন্তত আটটি ব্রিজ ও শতাধিক ছোট মাঝারি কালভার্ড। সরকারের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এই মহাসড়কটি নির্মাণ হচ্ছে মুলত শেরপুর ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় অবহেলিত বিশাল চরা লকে ঘিরে। এতে পিছিয়ে পড়া চরা লবাসির জীবন জীবিকায় নতুন গতি আনতেই এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই মহাসড়ককে ঘিরে চরের বুকে স্থাপিত হবে নতুন নতুন ভারি- মাঝারি শিল্প। বাড়বে কর্মসংস্থান,মাথা পিছু আয়। চরা লের বিশাল উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য সহজেই পৌছে যাবে ময়মনসিংহ-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।এই মহাসড়ককে ঘিরে শেরপুর কুড়িগ্রাম জেলাসহ বিশাল এই অ লের মানুষের যোগাযোগসহ জীবন ব্যবস্থায় গতি আসবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলি মোঃ শাকিরুল ইসলাম জানিয়েছে সরকারের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিশাল জনগোষ্ঠির ভাগ্য পরিবর্তন হবে। ময়মনসিংহের সাথে দুরুত্ব কমে যাওয়ায় বৃহত শিল্প হতে পারে। শিক্ষার নগরী ময়মনসিংহ কাছে চলে আসায় মানুষজন কম করচে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবে। সরকারের স্থানীয় সড়ক বিভাগ এই মেঘা প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধ পরিকর। সরকারের এই মেঘা প্রকল্পকে বাস্তাবায়ন করেতে শেরপুর সড়ক বিভাগ সর্বাত্বক প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে এবং কাজের শতকরা ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে।