আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচনে গোপন বুথে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। যুবলীগের ওই নেতার নাম লিটন সিকদার। তিনি আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
কালাপাহাড়িয়া আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. লিটনের বাড়িতে ঘোড়া প্রতীকের উঠান বৈঠক হয়। উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন ওই যুবলীগ নেতা।
যুবলীগ নেতার বক্তব্যের একটি ভিডিও রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিওতে যুবলীগ নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘ঘোড়ার পক্ষে ভোটের জন্য হুইপ নজরুল ইসলাম ভাই আমাদের বিদেশ থেকে নিয়ে আসছেন এবং আমাদের মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এটা ঘোড়া না, এটাই নৌকা। ঘোড়া মানেই নৌকা, নৌকা মানেই ঘোড়া। হুইপ নজরুল ইসলাম ভাই এটা আমাদের দিয়েছেন। ঘোড়া মানেই নজরুল ইসলাম বাবু।’
গোপন বুথে ভোট দিলে ঘোড়া প্রতীকের বাইরে ভোট পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন লিটন সিকদার।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই ঘোড়া মার্কায় ভোট দেব। যেহেতু সবাই ঘোড়া, তাইলে তো আমাদের বুথের ভেতরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করি না। যারা বুথের ভেতরে যাবেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন বৃদ্ধ, চোখে দেখেন না। অন্ধকারে ভুলে অন্য জায়গায় ভোট যাইতেও পারে। সুতরাং আমরা সবাই টেবিলের সামনেই ভোটটা দেব।’
এ বিষয়ে কথা বলতে যুবলীগ নেতা লিটন সিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজালাল মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। কালাপাহাড়িয়াসহ মোট ছয়টি ইউনিয়নে জাল ভোট ও কেন্দ্রে নাশকতার শঙ্কার কথা জানিয়ে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অতিরিক্ত পুলিশ ও সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। আড়াইহাজারে প্রশাসন অনেক বেশি সোচ্চার না হলে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে না।’