১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতেও মোংলা নদীতে চলছিল ট্রলারযোগে যাত্রী পারাপার। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। এ ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ যাত্রী তীর উঠতে পারলেও কেউ কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।
ট্রলারচালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পার করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যাত্রীদের স্বজনরা। এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল কাউন্টার ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঝড়ের মধ্যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, ‘যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কী করার আছে’- বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ‘৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি হওয়ার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
তাহলে সকালে কেন শ্রমিকরা নদী পার হচ্ছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। আপনারা যা লেখার লেখেন।’
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পর খোঁজ-খবর রাখছি। কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কি না সে বিষয়ে পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।