বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
নন্দীগ্রামে নকল বীজে সয়লাভ বাজার, প্রতারিত কৃষক
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ২:৫৪ PM
কৃষিই যখন কৃষকের ভরসা তখন নকল ধানের বীজে প্রতারিত হচ্ছেন নন্দীগ্রামের কৃষকরা। কথায় আছে ভাল ফলন পেতে হলে ভাল বীজ রোপন করতে হবে। কিন্তু সেই বীজই যদি নকল বা নিম্নমানের হয় তবে যতই পরিচর্যা করা হোক না কেন সেই বীজ থেকে ভাল ফলন আশা করা যায় না। আর বাজারে চাকচিক্য ভরা প্যাকেট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে এসব নকল বীজ।

নন্দীগ্রাম উপজেলার বেশির ভাগ বীজ বিক্রি করা দোকানগুলোতে নকল ও নিম্ন মানের বীজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসব নকল বীজ বিক্রি করার ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন এই উপজেলার সাধারণ কৃষকরা।

শষ্যভান্ডার হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে বগুড়া জেলার এই নন্দীগ্রাম উপজেলা। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যই রোপা আমন ধান লাগানোর কাজ শুরু হবে। এদিকে রোপা আমনের জন্য সাড়ে ৮শ হেক্টর জমিতে ব্রি-৩৪,৪৯,৫১,৭৫,৮৭,৯০,৯৫, বিনা-৭, বিনা-১৭ স্বর্ণা,মিনিকেট, কাটারিভোগ, ও হাইব্রিড-১০৩ জাতের বীজতলা ফেলেছেন কৃষকরা। তবে এসব ধানের বীজের মধ্য বেশিরভাগ ভাগ কৃষকরা ব্রি-৪৯ জাতের বীজ বপন করে থাকেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বীজের দোকান ঘুরে দেখা গেছে সরকারি বীজের পাশাপাশি বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির বীজ বিক্রয় করা হচ্ছে। যাদের নেই কোন সরকারি বীজ প্রত্যায়নকারী সংস্থার সনদ। এছাড়াও অনেক সার-কীটনাশক দোকান মালিকরা বাজার থেকে নিম্নমানের ধান ক্রয় করে এবং তা নিজেই নিজেদের মত করে সেগুলো ধান চমকপ্রদ প্যাকেট করে কৃষকদের নয়ছয় বুঝিয়ে অধিক দামে বিক্রয় করছেন এসব বীজ।

আর কৃষকরা এসব বীজ কিনে প্রতারিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, আমি ব্রি-৪৯ জাতের বীজ কিনেছিলাম কিন্তু দু:খের বিষয় ভেজাল বীজ হওয়ার কারণে আমার ধানে কোন ট্যাক গজায় নাই।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন কৃষক জানান, উপজেলার রনবাঘা বাজারের আবু বক্কর ইনছান আলী, সিমলা বাজারের রুহুল আমিন, সজল, মুনির, কামালকুড়ি বাজারের আরিফ, পাটগাড়ি বাজারে তানসেন, পুনাইল বাজারে মিজান, হাটকড়ই, পন্ডিতপুকুর, চৌমুহনী, থালতামাঝগ্রাম, সোনাকানিয়া বাজার, ধুন্দার বাজার, কুন্দার বাজার, বীজরুল, মুরাদপুর, বুড়ইল দাসগ্রাম, উমরপুর, নন্দীগ্রাম সদরসহ অর্ধশত স্থানে লাইসেন্স বিহীন ডিলাররা বেপরোয়া ভাবে সরকারি নির্ধারিত মূল্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের ইচ্ছামত উচ্চ মূল্যে এসব বীজ বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, বিভিন্ন বাজারে এসব নকল বীজ বিক্রয় করার কথা শুনেছি এবং সরেজমিনে গিয়ে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত