বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে একাধিক গুলির বুলেট গায়ে নিয়ে আহত হয়ে কাতরাচ্ছে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. রিদোয়ান হোসেন (১৯)। আহত মো. রিদোয়ান হোসেন ফেনী সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রিদোয়ান। রিদোয়ানের শরীর থেকে এখনো সব গুলি বের করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, ৪ আগষ্ট বন্ধুদের সাথে ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। মহিপাল ফ্লাইওভার এর পশ্চিম অংশে হিরা কনফেকশনারী এর সামনে অবস্থান নিয়েছিল। বন্ধুদের সাথে জামায়াতে যোহরের নামাজ পড়া শেষ হতে না হতেই যুবলীগ-ছাত্রলীগের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রিদোয়ান। গুলিবিদ্ধ রিদোয়ানকে সহপাঠিরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার। বর্তমানে শরীরে বুলেট নিয়ে কাতরাচ্ছে রিদোয়ান। রিদোয়ানের শরীর থেকে এখনো সব গুলি বের করা সম্ভব হয়নি।
গুলিতে আহত রিদোয়ান
একমাত্র ছেলের এ অবস্থায় দিশেহারা দিনমজুর বাবা। দরিদ্র হওয়ায় ছেলের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্যও তার নেই। এ অবস্থায় বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। সে সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের (চট্টগ্রাম সমাজের) হাসান হুজুর বাড়ির দিনমজুর মো. ইব্রাহিমের ছেলে।
রিদোয়ান এর বাবা মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘আমার ৪ মেয়ে, ১ ছেলে। আমি একজন অসহায় বাবা। আমার একমাত্র ছেলে দেশ স্বাধীন করতে ছাত্রদের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অবশেষে স্বৈরাচার সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনির গুলিতে আজ সে বিচানায় কষ্টে দিন পার করছে। তাকে আপনাদের ছোট ভাই মনে করে অসহায় এই বাবার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি আরো জানান, ডাক্তারের পরামর্শে রবিবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে এক্সরে করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এখনো কয়টা বুলেট শরীরে রয়েছে।