দেশের বৃহত্তর জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁচালং নদীর শাখা নদীসহ কাপ্তাই হ্রদের পানিও বাড়ছে। ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ও হ্রদের পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার।
অনেকেই তাদের শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশু উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। ক্লাসে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তারমধ্যে রয়েছে একটি প্রাথমিক, একটি মাধ্যমিক ও একটি মাদ্রাসা।
স্থানীয়রা জানায়, ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলের কারণে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আটারকছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লেমু ছড়ি, উত্তর ইয়ারংছড়ি, ডাঙ্গাবাজার সংলগ্ন কিছু এলাকার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্প মেয়াদি বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন চাষাবাদের জমি তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকো।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাইনী নদী ও কাপ্তাই হ্রদের নদীর বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খবর রাখা হচ্ছে এবং নদীর তীরবর্তী পানি বন্দিদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে ও সুবিধাজনক স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য। তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।