দাউদকান্দিতে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে অন্ডকোষে চাচীর কামড়ে ভাতিজা সুমন মিয়ার (৩৬) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দুলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার গৌরীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় সুমনের।
নিহত সুমন মিয়া (৩৬) দশপাড়া গ্রামের মৃত শাহজালালের পুত্র। তিনি নারায়নগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি কর্মচারী ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকালে নিহত সুমন মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক চাচী পারুল আক্তার (৪৫), তার স্বামী আলী মিয়া (৫৫), ছেলে রাব্বি আহমেদ ও মেয়ে তানিয়া আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া কর্মক্ষেত্র নারায়নগঞ্জ থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি এসে দেখে তার জায়গায় চারা গাছ লাগাচ্ছে। তিনি তার চাচীকে তার সীমানায় গাছ লাগাতে না বলে। এতে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে।
সুমন মিয়া এ ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং চাচা আলী মিয়াকে জানাতে গেলে তার চাচাতো ভাই ও বোন কিলঘুষি দেয়। পরে তার চাচী সুমন মিয়ার অন্ডকোষে কামড় দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে।
স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘাতক পারুল আক্তারসহ চারজন হাসপাতালে গেলে এলাকাবাসী আটক করে রাখে তাদের। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করে মডেল থানায় নিয়ে যায়।
দাউদকান্দি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার সুজয় মজুমদার বলেন, গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় নিহত সুমন মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পারুল আক্তারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলাও নেওয়া হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের জায়গায় গাছ লাগানোয় বাধা দেওয়ায় এভাবে আমার স্বামীর অন্ডকোষে কামড়ে হত্যা করেছে। এ ঘাতক মহিলাসহ সবার ফাঁসি চাই। আমার দুটি শিশু সন্তান নিয়ে কিভাবে বাঁচব আল্লাহ...।’