ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাহিলাড়া এলাকায় রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকাগামি দুরপাল্লার বাস যমুনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৭১৯) গৌরনদী থেকে ছেড়ে আসা বাটাজোরগামি একটি মাহেন্দ্রাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মা-ছেলে নিহত হয়।
নিহরা হলেন, আগৈরঝাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। মাহেন্দ্রার আরো ৯ যাত্রী আহত হয়েছে। গরুতরভাবে আহত মূমূর্ষ ৭ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। বাস চালক মোঃ রুবেল হোসনকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামি গামি দুরপাল্লার বাস যমুনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৭১৯) রোববার দুপুর দেড়টার দিকে গৌরনদী মাহিলাড়া নামক স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে বাটাজোরগামি মাহেন্দ্রাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে নিহত হন।
নিহতরা হলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামের আজম মৃধার স্ত্রী সুমা আক্তার (৫০) ও ছেলে আজমাইন মৃধা (৪)। এতে আরো ৯ মাহেন্দ্রা যাত্রী আহত হয়। গুরুতরভাবে আহত মোঃ হাসান, মোঃ মাইনুল, ভক্তি রানী, নমিতা রানী দাস, বৈশাখি হালদার, মোঃ সুজন ও সজল খানকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
মাহেন্দ্রা যাত্রী নমিতা রানী জানান, গৌরনদী থেকে ১০/১১ জন যাত্রী নিয়ে মাহেনদ্রা গৌরনদী থেকে বাটাজোর যাওয়ার পথে মাহিলাড়া নামক স্থানে পৌছলে যমুনা নামের বাসটি চাপা দেয়। হতাহত অধিকাংশ যাত্রী গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার বাসিন্দা। গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান মনির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ হাসপাতালের বারান্দায় রাখা হয়েছে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, বাস চালক পটুয়াখালি গলাচিপা উপজেলার শান্তিবাগ গ্রামের শাহ আলম চকিদারের পুত্র রুবেল চকিদারকে (২৭) আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।