পালকিতে বিয়ে করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করলেন সৌদি প্রবাসী আহাদ মোল্লা। বাঙালি সংস্কৃতিতে পালকি এক সময়ের খুবই জনপ্রিয় বাহন ছিল। বিয়ে বা রাজা জমিদাররা কোনো জায়গায় গেলে বাহন হিসেবে পালকি ব্যবহার করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে পালকি।
পালকিতে বিয়ে করতে যাবে শুনে রাস্তার পাশে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল স্থানীয় শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষ। জাটিগ্রামের ইস্রাফিল মোল্যার ছোট ছেলে আহাদ মোল্যার সঙ্গে কাশিয়ানী উপজেলার বাগঝাপা গ্রামের নান্নু মোল্যার ছোট মেয়ে রুমা খানমের বিয়ে হয় কয়েক দিন আগে।
পালকিতে বর এবং পেছনে পায়ে হেঁটে কনে বাড়িতে যান বরযাত্রীরা। এ সময় গ্রামের মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পালকিতে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেন। শিশুরা পালকির সঙ্গে অনেক দূর পর্যন্ত যায়। বেশ আনন্দ করতে দেখা গেছে তাদের।
পালকিতে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সৌদি প্রবাসী বর আহাদ মোল্যা বলেন, আমার পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে পালকিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। আমি খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য ছিল পালকি।
ডিজিটাল যুগে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরেছি। আমি পালকিতে বসে দেখেছিলাম ছোট ছোট শিশুরা পালকি দেখে খুবই আনন্দ পাচ্ছিল। প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতে বিয়েতে পালকির ব্যবস্থা করায় আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি জানান, পালকি নিয়ে এসেছিল ঢাকা কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে। তারা এসেছিলেন ১৫ জন। ৩৫ হাজার টাকা চুক্তিতে। তারাও বেশ খুশি হয়েছেন।