রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানার আগুনে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ঘটনার চতুর্থ দিন বুধবার সকালেও কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকায় নিখোঁজদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
আজ সকালে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে দেওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, এরপরও ভবনটিতে পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
দুদিন আগে সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম৷
সোমবারের আগুনের ছবি
এরপর আবার গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোর পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কথা জানালেও বিকেলের পর ভবনটিতে আবারও আগুন জ্বলে ওঠে। রাতে আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে রাতের মধ্যেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (জোন-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান।
তিনি বলেন, থেকে থেকে ভবনটির দেয়াল ও প্লাস্টার ধসে পড়ছে। অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনটি। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কোনোভাবেই প্রবেশ করতে পারছেন না।
সোমবার সকালে আগুনের ছবি
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে ঢোকার আগে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ভবনের নিরাপত্তার ছাড়পত্র ছাড়া ভেতরে ঢুকে অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ভেতরে প্ল্যাস্টিক, রাবারজাতীয় বস্তু থাকার কারণে প্রতিনিয়ত পানি ছিটিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় ভবনটি এখন অনিরাপদ। আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের অপেক্ষায় আছি। তাদের নির্দেশনা ছাড়া ভবনটিতে ঢুকে অনুসন্ধান চালানো যাচ্ছে না।
জ্বলছে গাজী টায়ার্স
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে বুধবারের মধ্যে তারা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হবেন। আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। ভবনটিতে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো যায় কিনা সে ব্যাপারে তখন পরামর্শ দেব।
ভবনে অনুসন্ধান চালাতে না পারায় নিখোঁজদের বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য দিতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন একটি তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে জানালেও নিখোঁজের কোনো সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।